শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে, সঠিক ও পূর্ণ চিকিৎসায় ৯০ শতাংশ স্তন ক্যান্সার রোগীর সুস্থ হওয়া সম্ভব।
বিভিন্ন কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে– বার্থ কন্ট্রোল পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ। এই ওষুধ অতিরিক্ত সেবনের ফলে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এমনি দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
নারীদের গর্ভনিরোধক ওষুধ তাদের হরমোনের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে এবং অতিরিক্ত পরিমাণ গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট খেতে নিষেধ করে থাকেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের একটি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
তারা জানিয়েছেন, বার্থ কন্ট্রোল পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের ফলে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি একটি মার্কিন গবেষণালব্ধ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন গবেষক দল ১১০০ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, যারা অতীতে বা বর্তমানে বার্থ কন্ট্রোল পিল খেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি নারীর মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করার পর প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত স্তন ক্যান্সারের কোনো লক্ষণই পরিলক্ষিত হয় না।
গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, ইস্ট্রোজেন কম পরিমাণে সেবন করলে এ ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।
আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা আরও জানতে পেরেছেন, নারীরা এ ওষুধ বেশি সেবন করে থাকেন। যারা বার্থ কন্ট্রোল পিল বেশি ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
ব্রেক থ্রো ক্যান্সারের ড. ক্যারোলাইন ডাল্টন বলেন, বার্থ কন্ট্রোলের পিল খাওয়ার আগে নারীদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মার্কিন গবেষকরা জানাচ্ছেন, গত ৩০ বছরে ইস্ট্রোজেনের কম্বাইন্ড পিলের মাত্রা অনেকটাই কমানো হয়েছে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কতটা কম হলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।